পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সমস্যাগুলির সমাধানকল্পে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে?
Share
পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সমস্যাগুলির সমাধানকল্পে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে?
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
Answer:
☞ কৃষি, মৎস,পশু পালন প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত খাদ্য দ্রব্য সরাসরি খাওয়ার উপযুক্ত করা কিংবা আংশিক বা সম্পূর্ণ রান্না করা খাবার তৈরি করা এবং ওই খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য মোড়কজাত করা ও হিমায়িত করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প বলে। এই শিল্পের মধ্যে আছে ফল ও সবজি প্রক্রিয়াকরণ, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ, মাছ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ, কেক ও বিস্কুট প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি।
পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতির কারণ☞ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প পশ্চিমবঙ্গের একটি উল্লেখযোগ্য কৃষিভিত্তিক শিল্প। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি শিল্পাঞ্চল, মালদহ,শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, হলদিয়া, বহরমপুর, বর্ধমান,সাঁকরাইল, শংকরপুর,কাকদ্বীপ প্রভৃতি স্থানে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উন্নতি লাভ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের এই উন্নতির কারণ গুলি হল-
1) কাঁচামালের প্রাচুর্য্য☞বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ধরনের ফল,শস্য ও মাছ চাষ করা হয় এবং পশু পালন করা হয়। ফলের চাল,ডাল, আটা,ময়দা, সুজি, ভোজ্যতেল, পাপড়, দুধ, ঘি, মাখন,পনির, ফলের রস, জ্যাম,জেলি, আচার প্রভৃতি খাদ্য উৎপাদনের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাব হয়না।
2) জীবনযাত্রার পরিবর্তন☞ পশ্চিমবঙ্গে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্তের সংখ্যা, মানুষের জীবনযাত্রার মান ও দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন, যৌথ পরিবারের ভাঙন ও ছোট পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিজ্ঞাপনের প্রভাব প্রভৃতি কারণে এ রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিতে হিমায়িত খাবার,কৌটোজাত খাবার, হালকা পানীয় ইত্যাদির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতি ঘটছে।
3) উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা☞ অন্যান্য শিল্পের মতো খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতির জন্য উন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজন। কারণ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি হলে জ্যাম,জেলি, আচার, বিস্কুট, কেক, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী অল্প সময়ে বেশি পরিমাণে বাজারজাত করা যায়। এছাড়া টিভি, রেডিও, মোবাইল, ইন্টারনেট প্রভৃতি যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম বিজ্ঞাপনের সাহায্যে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ক্রেতার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়।পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যেহেতু উন্নত তাই এরাজ্যের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতি ঘটেছে।